Maharaja Dhanya Manikya founded the Tripura Sundari Temple in the year 1501. It is said that he actually founded the temple for Lord Bishnu, but later on due to a revelation in his dream, he carried on the idol of Mata Tripurasundari which is made up of Kasti stone from Chittagong of Bangladesh and installed it in the temple. It is considered to be one of the 51 Shakti Peethas. According to Hindu Mythology, Peethasthans are those places where the body pasts of Devi Sati fall have fallen. As per “Pithamala Grantha”, Sati’s right foot falls here during Lord Siva’s Tandava Dance. All these informations are gathered from the manuscripts of the Temple. But these manuscripts have destroyed during the course of time.
The idol of Devi Tripura Sundari is made of Kasti stone which is reddish black in colour. The idol is of 1.57 mtr. long and .64 mtr width and installed on a stone platform. Devi Tripura Sundari has 4 hands, face is a bit longer, and eyes are comparatively small, standing on the chest of Lord Siva, crowned with golden crown and have a gridlock.
The Tripura Sundari Temple is build of the unique architecture of Tripura. The height of the temple is 75 feet, surrounded by 4 huge pillars in four corners of the temple. The root is built up of the Buddhist architectures. At the top of the temple seven pitcher/pots are set up holding one flag. The architecture of the temple is the combination of multi-culture and tradition of the country. The present temple is constructed during the reign of Maharaja Radhakishore Manikya Bahadur (1896-1990).
The temple is known to be the congregation of people from different religions and culture. The unique feature of the temple is that people from any religion can offer Puja to Sri Sri Mata Tripura Sundari. During the middle of the 18th century, Samser Gazi has attacked and captured Udaipur. In ‘Gazinama’, the Briography of Samser Gazi, it is referred that Gazi himself had offered puja to Devi Tripura Sundari. The Temple management Committee also comprises of people from various religion, culture and portfolios.
It is a custom that even the Muslims of Udaipur offer their first crops and milk to Devi Tripura Sundari. Devi Tripura Sundari is also popular among the Tribal Communities of Tripura. Puja is offered twice daily at the temple and Annabhog prasad can be taken by booking coupon in advance. Arati is offered at daily evening. Sacrifice is also offered daily except Dashami Tithi as per custom.
The Tripura Sundari Temple is presently run by the State Govt. as per the condition of Tripura Merger Agreement. The District Magistrate & Collector of Gomati District is by virtue of Chair holds the post of ‘Sevait’ of the temple. The DM & Collector, Gomati District is Member-Secretary and look after the entire management of the temple.
For the future development of Tripureswari Temple and adjacent area , Govt. of Tripura has formed "Mata Tripura Sundari Temple Trust". The Chairman of this trust is Hon'ble Chief Minister of Tripura.
১৫০১ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা ধন্যমানিক্য ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে তিনি বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন, পরে স্বপনাদৃষ্ট হয়ে বর্তমান বাংলা দেশের চট্টগ্রাম থেকে কস্টি পাথরে নির্মিত ত্রিপুরা সুন্দরী বিগ্রহ এনে এই মন্দিরে স্থাপণ করেন । উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরকে ধরা হয় একান্ন পীঠের এক পীঠ । পুরাণের কাহিনী অনুসারে সতীর অঙ্গ যেখানে যেখানে পড়েছিল, সেই জায়গায়ই পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে । ‘ পীঠমালা তন্ত্র ’ , গ্রন্থ অনুসারে উদয়পুরের এই স্থানে সতীর ডান পা পড়েছিল । বিষ্ণুর জন্য নির্মিত মন্দিরে ত্রিপুরা সুন্দরী বা কালী বিগ্রহ স্থাপণ নিয়ে ধন্য মানিক্যের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ থাকলেও পড়ে তা দূর হয়ে যায় দৈব বাণী শুনে । মন্দিরের শিলালিপি থেকে এই সব তথ্য জানা যায় ।শিলালিপিগুলি কালের নিয়মে নষ্ট হয়ে গেছে ।
ত্রিপুরা সুন্দরী বিগ্রহ উত্কৃষ্ট কস্টি পাথরে নির্মিত । বিগ্রহের উচ্চতা ১ মিটার ৫৭ সে.মি । প্রস্থ ৬৪ সে.মি দেবীমূর্তি একটি পাথরের বেদিতে স্থাপিত । দেবীর চার হাত । মুখমণ্ডল লম্বাটে, তুলনায় চোখ দুটি ছোট । নাক চ্যাপ্টা । শবাসনে শায়িত মহাদেবের বুকের উপর পা দুটি স্থাপন করে দেবী দন্ডায়মান । দেবীর মাথায় আছে মুকুট ও জটারাশি । বর্তমান বিগ্রহের অবশ্য অনেক কিছুই স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়না ।
ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরটি ত্রিপুরার নিজস্ব স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত । মূল দ্বার পশ্চিমমুখী । উত্তর দিকেও একটি দরজা আছে । মন্দিরের বাইরের পরিমাপ ২৪ ফুট x ২৪ ফুট । ভেতরের পরিমাপ ১৬ x ১৬ ফুট । দেয়াল ৮ ফুট পুরু । মন্দিরের উচ্চতা ৭৫ ফুট । চার কোনায় আছে চারটি প্রধান স্তম্ভ । উপরের গম্বুজ বৌদ্ধ রীতির অনুকরণে নির্মিত । এর উপরে সপ্ত কলসী, তার উপরে পিতলের ধ্বজ দন্ড । এই মন্দিরের গঠন শৈলীতে বিভিন্ন প্রদেশ ও ধর্মের মন্দিরের গঠনরীতির সংমিশ্রণ রয়েছে । এটাই ত্রিপুরার নিজস্ব গঠন রীতি ।
ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মিলনভূমি হিসাবে স্বীকৃত । মন্দিরের সৃষ্ঠ লগ্নে শৈব সাক্তের মিল ঘটেছে । মন্দির নির্মিত হয়েছিল বিষ্ণুর জন্য, প্রতিষ্ঠিত হলেন দেবী কালিকা । এখানে মায়ের সঙ্গে নারায়ণ শিলার পূজা হয় আজও । এই মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট হল, এখানে আগত তীর্থ যাত্রী ও পর্যটকদের ধর্ম বা বর্ণ পরিচয় জানতে চাওয়া হয়না । যে কোনও ধর্মের বা বর্ণের মানুষ এখানে পুজো দিতে পারেন । অস্টাদশ শতকের মাঝামাঝি শমসের গাজী উদয়পুর আক্রমণ করেন এবং দখল করেন । তিনি নিজে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে পূজা দিয়েছেলেন বলে ‘গাজিনামা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে । মন্দির পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যেও সকলের অংশ গ্রহণ রয়েছে । উদয়পুরের মুসলমানরা ক্ষেতের প্রথম ফসল, গরুর দুধ মা কে নিবেদন করেন । উপজাতি জন গোষ্ঠীর প্রিয় দেবী ত্রিপুরা সুন্দরী ।
মন্দিরে প্রতি দিন পূজা হয় । অন্ন ভোগের ব্যবস্থা আছে । সন্ধায় আরতি হয় । পুরানু ঐতিহ্য অনুসারে দশমী তিথি ছাড়া প্রতিদিন পশুবলি হয় ।
ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির বর্তমানে রাজ্য সরকার দ্বারা চালিত হয় এবং রাজন্য ত্রিপুরার ভারতভুক্তির চুক্তির শর্তানুসারে গোমতী জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর 'সেবাইত' পদে অধিষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও কালেক্টর, গোমতী জেলা, সদস্য-সচিব এবং মন্দিরের পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন।
ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির এবং আশেপাশের এলাকার ভবিষ্যত উন্নয়েনর জন্য, ত্রিপুরা সরকার মাতা "ত্রিপুরা সুন্দরি মন্দির ট্রাস্ট" গঠন করেছে। এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ত্রিপুরার মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী ।